আমাদের দেশে ভাতের পরই আলুর স্থান। তার কারণ হলো প্রতিদিনের খাবারে আলুর কোনো না কোনো পদ থাকেই। যেমন, আলু ভর্তা, আলু ভাজি, আলুর অদ্ম, আলু পরোটা, আলু পুরি, সিঙ্গারা, আলুর চপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এছাড়া বিভিন্ন রানার সঙ্গেও আলু জুড়ে দেয়া হয়। এটি এমন এক সবজি, যা কিনা ব্যবহার করা যায় বেশিরভাগ খাবারের সঙ্গে।

অনেকে আলু কিনে সংরক্ষণ করে রাখতে চান। কিন্তু বেশিদিন রাখা সম্ভব হয় না। কারম একটা সময় আলুতে পচন ধরে বা আলু নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যদি কেনার সময় ও কেনার পরে কিছু বিষয় লক্ষ্য তবে আলু দীর্ঘদিন ভালো রাখা সম্ভব। সেজন্য মেনে চলতে হবে কিছু কৌশল। চলুন জেনে নেওয়া যাক আলু দীর্ঘদিন ভালো রাখার উপায়-

সবুজ আলু বাদ দিন
যেসব আলুর গায়ে সবুজ দাগ আছে সেগুলো কিনবেন না। এসব আলু দ্রুত পচে যাওয়ার ভয় থাকে। সেইসঙ্গে এটি শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল পয়জন সেন্টারও সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।

শক্ত কি না দেখে নিন
আলু খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। সেসব উপকারিতা ঠিকভাবে পেতে চাইলে আলু কেনার সময় কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। প্রথমে যে আলুগুলো কিনবেন সেখান থেকে কিছু আলু টিপে দেখুন যে সেগুলো শক্ত আছে কি না। যদি আলু নরম হয়ে আসে তবে সেগুলো দ্রুত পচে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই কেনার সময় নরম আলু বাদ দিয়ে কিনবেন।

অঙ্কুরিত আলু কিনবেন না
অঙ্কুরিত আলু কিনবেন না। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল পয়জন সেন্টার (আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ পয়জন কন্ট্রোল সেন্টার দ্বারা স্বীকৃত একটি সংস্থা) অনুসারে, অঙ্কুরিত আলু খাওয়া যাবে না। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, আলু অঙ্কুরিত হওয়ার সময় এর গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড উপাদান বাড়তে শুরু করে। এই যৌগর অত্যধিক ব্যবহার আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

প্যাকেটজাত আলু নয়
অনেকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে আলু কিনে থাকেন। এ ধরনের আলু না কেনাই ভালো। এতে আর্দ্রতা জমে থাকার ভয় থাকে। সেইসঙ্গে এ ধরনের আলু দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই প্যাকেটজাত আলু কেনা থেকে বিরত থাকুন।